দুর্গাপুরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবিতে সমাবেশ

কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নেতা সুব্রত সাংমা হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নেতা সুব্রত সাংমা (৪৭) হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কয়েকটি সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন, বাংলাদেশ হাজং ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মী ও কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা আজ দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সমবেত হন। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তাঁরা শহরের প্রধান সড়কগুলো ঘুরে একই স্থানে গিয়ে জড়ো হন। পরে সেখানে সমাবেশ করা হয়।

সমাবেশে ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নিহত সুব্রত সাংমার বড় ভাই সাইমন তজুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দের বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির সাবেক পরিচালক নেত্র স্বপন হাজং, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল মিয়া, আলম মিয়া, যুবলীগ নেতা ফারুক বাবু, লিটন হাজং, অন্তর হাজং, মানবাধিকারকর্মী রাখী দ্রং প্রমুখ। বক্তারা সুব্রত সাংমা হত্যায় জড়িত সব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

নিহত সুব্রত সাংমা কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেরাতলী গ্রামের মৃত সুধীর মানকিনের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইউপি নির্বাচনে বিরোধের জেরে ও সীমান্তে অবৈধ ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কুল্লাগড়ার রাশিমনি বাজারে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবদুল আওয়াল, তাঁর ভাই মো. শামীম মিয়ার নেতৃত্বে সুব্রত সাংমার ওপর দুই দফা হামলা চালানো হয়। এতে আহত হন সুব্রত সাংমা। ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ অক্টোবর তিনি মারা যান। হামলার ঘটনার পরদিন সুব্রত সাংমার বোন কেয়া সাংমা বাদী হয়ে থানায় চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল, তাঁর ভাই শামীম, মো. বদিউজ্জামান, সহযোগী খোকন মিয়া, ফরহাদ মিয়া, সোহেল মিয়া, হাকিম মিয়া, হুমায়ুন মিয়া, হৃদয় মিয়া, বিল্লাল হোসেনসহ ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সুব্রত সাংমা হত্যার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আওয়ালসহ আট আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।