সিংড়ায় প্রার্থীকে অপহরণের কাজে ব্যবহৃত আরও একটি গাড়ি জব্দ
নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় ব্যবহৃত আরও একটি ব্যক্তিগত গাড়ি জব্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে সিংড়ার নেঙ্গুইন এলাকা থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়।
নাটোর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে কালো মাইক্রোবাসের পাশাপাশি একটি ব্যক্তিগত গাড়ি শনাক্ত করা হয়। গাড়ির চালককেও শনাক্ত করা হয়েছে। চালককে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ রোববার রাতে গাড়িটি জব্দ করেছে। জব্দ গাড়ির মালিক মিজানুর রহমান। তাঁর বাড়ি সিংড়া শহরের নেঙ্গুইন এলাকায়। তবে গাড়ির মালিকের বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, এটা অপহরণ মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। গাড়ির চালককে শনাক্ত করা হলেও তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তদন্তের স্বার্থে তাঁর পরিচয় জানানো সম্ভব হচ্ছে না।
এর আগে পুলিশ অপহরণকাজে ব্যবহৃত কালো মাইক্রোবাসটি শনিবার সন্ধ্যায় সিংড়ার চকপুর থেকে উদ্ধার করে। এ সময় আতাউর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, গত সোমবার বিকেলে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের ভেতর থেকে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে মারধর করে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। ঘণ্টাখানেক পর তাঁকে সিংড়ার সাঐল গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই দিন রাতে তাঁর ভাই মুজিবর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। এ পর্যন্ত পুলিশ দুই দফায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়া সুমন আহমেদ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের পক্ষ নিয়ে দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের কথা স্বীকার করেন। এ সময় তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেন। সর্বশেষ রোববার লুৎফুল হাবীব তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।