পাওনা ১০ টাকা চাওয়ায় দোকানদারকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

হত্যা
প্রতীকী ছবি

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ক্রেতার কাছে পাওনা ১০ টাকা চাওয়ায় এক মুদিদোকানিকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে পুলিশ নূরনবী (২৬) নামের এক ক্রেতাকে আটক করেছে। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের চকধুলু নারায়ণপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহত দোকানির নাম মোশাররফ হোসেন (৪০)। তিনি নারায়ণপুর গ্রামে মোতাহার হোসেনের ছেলে। আটক নূরনবী ওই গ্রামের তফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি নারায়ণপুর দাখিল মাদ্রাসার নিরাপত্তাকর্মী পদে চাকরি করছেন। ওই চাকরি পাওয়ার আগে তিনি এলাকায় ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, বাকির টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দোকানদার মোশাররফের সঙ্গে নূরনবীর বাগ্‌বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়। পরে লোহার রড দিয়ে দোকানদারের মাথায় আঘাত করেন নূরনবী। এতে ঘটনাস্থলে দোকানদার মোশাররফ হোসেনের মৃত্যু হয়।

নূরনবী মোশাররফ হোসেনের হাত থেকে লোহার রডটি কেড়ে নেন এবং মোশাররফ হোসেনের মাথায় আঘাত করেন।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে মোশাররফ হোসেনের মুদিদোকানে যান নূরনবী। নূরনবী দোকানদারের কাছে পণ্য চাইলে মোশাররফ হোসেন নূরনবীকে তাঁর বাকি ১০ টাকা পরিশোধ করতে বলেন। এ সময় নূরনবী খেপে যান এবং মোশাররফ হোসেনের দিকে তেড়ে আসেন। এ সময় দুজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে দোকানদার মোশাররফ হোসেন তাঁর দোকান থেকে একটি লোহার রড এনে নূরনবীর পিঠে আঘাত করেন। তখন মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে নূরনবীর চোখে রডের আঘাত লাগে। তখন তিনি মোশাররফ হোসেনের হাত থেকে লোহার রডটি কেড়ে নেন এবং মোশাররফ হোসেনের মাথায় আঘাত করেন। এতে মোশাররফ হোসেন মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান। মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে দোকানদার মোশাররফ হোসেনকে হত্যার ঘটনায় থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে নূরনবীকে আটক করা হয়েছে। মোশাররফ হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।