গাজীপুরে পড়ে আছে পোড়া গাড়ি, পুলিশ বক্স
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে পুড়ে যাওয়া যানবাহন পড়ে আছে। শত শত ভবনের গ্লাস ভাঙা। পুড়িয়ে দেওয়ার চিহ্ন পুলিশ বক্সগুলোতে। কিছু রাস্তায় এখনো ইটের টুকরা পড়ে আছে। নানাভাবে জখম হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন অনেকে। এই চিত্র গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী, চান্দনা চৌরাস্তা, শিববাড়ি, বাসন, বোর্ড বাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকার।
কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন ঘিরে হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থাপনা। পাঁচ দিন পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও জনমনে আতঙ্ক কাটেনি। এখনো স্বাভাবিক হয়নি জনজীবন।
গাজীপুর মহানগর ও জেলায় সহিংসতা, যানবাহন ভাঙচুর ও নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে হওয়া নাশকতার মামলায় গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৩১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার পুলিশ বক্সটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বক্সটির টিনের চাল, চেয়ার-টেবিল ও আসবাব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এর পাশে সড়ক ও জনপথের কার্যালয়। সেই কার্যালয়ের ভেতরে গিয়ে চারটি পোড়া গাড়ি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় পড়ে আছে ইটের টুকরা। আশপাশের ঘরবাড়ি ও দালানের ভাঙা গ্লাসগুলো এখন দেখা যাচ্ছে। গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের স্টেশনগুলোয় রাখা এসকেলেটরগুলোর আংশিক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনাবাড়ী এলাকায় পুলিশের একটি বক্স পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।
পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সুলতান উদ্দিন সরকার বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তাই এখন যানবাহন চলাচলে আর কোনো সমস্যা হবে বলে তিনি মনে করছেন না।
গত কয়েক দিনে গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা আন্দোলনকারীদের। এ সময় অর্ধশতাধিক যানবাহন ও পাঁচটি পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম জানান, নাশকতার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।