সিলেটে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো বহুতল ভবনসহ ৩৫টি অবৈধ স্থাপনা

৩টি বহুতল ভবনসহ ২৫টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। আজ সকালে নগরের পাঠানটুলা এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৩টি বহুতল ভবনসহ ২৫টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের জায়গা দখল করে কিছু ব্যক্তি অবৈধভাবে বহুতল ভবন ও স্থাপনা তৈরি করেন। অনেক দিন ধরেই এসব স্থাপনার মালিকদের সওজ কর্তৃপক্ষ স্থাপনা সরিয়ে নিতে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ নানাভাবে তাগাদা দেয়। এ অবস্থায় সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এসব স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে।

উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে পাঠানটুলা এলাকায় সড়কের বাঁ দিকে একটি একতলা ভবন পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চালতলা ও পাঁচতলাবিশিষ্ট দুটি ভবনেরও সম্মুখ অংশ ভেঙে ফেলা হয়। পরে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে ওই দুই ভবনের মালিকেরা নিজ উদ্যোগে দ্রুত বাকি অংশ ভেঙে ফেলার আশ্বাস দেন। একইভাবে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের ডান অংশের আরও ছয়টি স্থাপনা বুলডোজার ও শ্রমিকদের সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে টংদোকান, বাসা ও বাণিজ্যিক ভবনের গেটসহ মোট ৩৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর জানান, নগরের পাঠানটুলা এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ জন্য লন্ডনী রোড ও পাঠানটুলা এলাকায় গত বৃহস্পতিবার থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করা হয়। এর অংশ হিসেবে ৯টি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার পাশাপাশি ছোট আরও বেশ কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। চারতলা ও পাঁচতলাবিশিষ্ট দুটি ভবনও অবৈধ স্থাপনার তালিকায় আছে। এ দুটি ভবনের একাংশ ভাঙা হলে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য মালিকেরা সুযোগ চান। পরে মালামাল সরিয়ে দ্রুত ভবন নিজ উদ্যোগে ভেঙে ফেলার আশ্বাস মালিকেরা দিলে সিটি কর্তৃপক্ষ এ দুটি ভবন পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেয়নি।

আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়
ছবি: প্রথম আলো

সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের লন্ডনী রোড, পাঠানটুলা ও মদিন মার্কেট এলাকার অংশে বহুতল ভবনসহ অন্তত দেড় শ অবৈধ স্থাপনা আছে। সওজের জায়গা দখল করে এসব স্থাপনা তৈরি করায় নগরে জলাবদ্ধতা, যানজটসহ বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে রাস্তা প্রশস্তকরণ ও ড্রেনেজের নির্মাণকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ অভিযান শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে সড়কের অন্যান্য অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হবে। এরপর উভয় পাশে নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণের পাশাপাশি যানজট নিরসনে পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও করা হবে।