দেশের প্রথম অঙ্কন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আদি ভবন সংরক্ষণের দাবি

দেশের প্রথম অঙ্কন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আদি ভবন সংরক্ষণের দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার শহরে পিকচার প্যালেস মোড়
ছবি: প্রথম আলো

দেশের প্রথম অঙ্কন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মহেশ্বরপাশা স্কুল অব আর্টের আদি ভবন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন খুলনার নাগরিক নেতারা।

আজ শনিবার খুলনা নগরের পিকচার প্যালেস মোড়ে এ দাবিতে মানববন্ধন করেন তাঁরা। ‘জনউদ্যোগ’ নামের একটি সংগঠন এর আয়োজন করে।

খুলনা শহরের একাধিক প্রবীণ ব্যক্তি জানিয়েছেন, শহরের মহেশ্বরপাশা এলাকায় পুরোনো এই ভবনটিতে মহেশ্বরপাশা স্কুল অব আর্টের কার্যক্রম চলত। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি খুলনা শহরে স্থানান্তরের পর নামকরণ হয় খুলনা আর্ট কলেজ। বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে খুলনা আর্ট ইনস্টিটিউট নামে এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উন্নয়নের নামে দেশের প্রথম অঙ্কন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পুরোনো ভবন নষ্ট করা যাবে না। আন্দোলনের মাধ্যেমে হলেও ভবনটিকে সংরক্ষণ করবে খুলনাবাসী। সংস্কারের অঙ্গীকার করে এবং সে জন্য কমিটি গঠন করার পরও তা ভাঙার ষড়যন্ত্র কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না।

কার স্বার্থে ভবনটি ধ্বংস করা হচ্ছে—তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘১৯০৪ সালে নিজ বাড়িতে ওই অঙ্কন স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন শশীভূষণ পাল। ১৯২৯ সালে ওই বাড়িতেই স্কুলের জন্য সুরম্য এ ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবনটিতে দীর্ঘ সময় আর্ট স্কুলটির কার্যক্রম চলে। ১৯৭৪ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ও কবি জসীমউদ্‌দীন ওই প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশের প্রথম অঙ্কন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উল্লেখ করেন। শিল্পী এস এম সুলতান নানা সময়ে ওই প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। ঐতিহ্যবাহী এ ভবনটি সংরক্ষণের জোর দাবি জানাই।’

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ফ ম মহসীন ও সঞ্চালনা করেন খুলনার ইতিহাস গবেষক গৌরাঙ্গ নন্দী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের খুলনা জেলার সাবেক সভাপতি মিনা মিজানুর রহমান, সিপিবির মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর সভাপতি মফিদুল ইসলাম, পোল্ট্রি ফিশ ফিড দোকান শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, খুলনা উন্নয়ন ফোরামের কো-চেয়ারপারসন মোসাদ্দেক হোসেন, জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটের নেতা রতন কুমার নাথ, খুলনা আর্ট স্কুলের পরিচালক বিধান চন্দ্র রায় প্রমুখ।