ভারতে অনুপ্রবেশের সময় নেত্রকোনায় বাবা-মেয়েসহ আটক ৫

নেত্রকোনা জেলার মানচিত্র

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বাবা-মেয়সহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাচারকারী চক্রের সদস্য একজন ভারতীয় নাগরিকও রয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার বিজয়পুর সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবি তাঁদের আটক করে। পরে থানা-পুলিশে সোপর্দ করে আজ শনিবার দুপুরে এ ঘটনায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় আটক পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আলীপুর জেলার শামুকতলা উপজেলার পশ্চিম চেপানি গ্রামের বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ (৫৬), দুর্গাপুর উপজেলার বাড়ইপাড়া গ্রামের দীগ্রেন্দ্র দেবনাথের ছেলে জীবন দেবনাথ (২২), কলমাকান্দা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের অজিত দেবনাথ (৫২), একই গ্রামের পরিমল দেবনাথ (৪৫) ও তাঁর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা দেবনাথ (১৬)।

বিজিবি নেত্রকোনা-৩১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম কামরুজ্জামান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শুক্রবার দুপুরে বিজয়পুর সীমান্ত পিলার ১১৫৪/৪-এস এর ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজয়পুর মনতলা স্থানে বিজিবির সদস্যরা টহল দিচ্ছিল। এ সময় একজন ভারতীয় মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আটক হওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাঁরা ভারতে অনুপ্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে ৩৮ হাজার ৪৯০ ভারতীয় রুপি ও ৫ হাজার ৪৬৯ বাংলাদেশি টাকা ও তিনটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়। পরে ওই দিন রাতে তাঁদের দুর্গাপুর থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম কামরুজ্জামান বলেন, ভারতীয় মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ নেত্রকোনার অজিত দেবনাথ ও জীবন দেবনাথের সহযোগিতায় সীমান্তের বিভিন্ন রুট দিয়ে মানব পাচার করে আসছিলেন। শুক্রবার তাঁরা পরিমল দেবনাথ ও তাঁর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা দেবনাথকে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়।

বিজিবির হাতে আটক পাঁচজন বর্তমানে দুর্গাপুর থানায় আছে জানিয়ে আজ বিকেলে ওই থানার ওসি মোহাম্মদ সাফিুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় বিজয়পুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক মো. সাইফুল রহমান বাদী হয়ে বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের নামে মামলা করেছেন। এর মধ্যে বিনয়ের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারত হতে বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ, বৈদেশিক মুদ্রা অবৈধভাবে নিজের কাছে রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।