সরিষাবাড়ীতে বিএনপির ৮৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা, গ্রেপ্তার ১

হাতকড়া
প্রতীকী ছবি

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় নাশকতা ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সরিষাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হুমায়ূন মিঞা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ৬০ থেকে ৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলায় ভাটারা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য জুয়েল আকন্দকে (৪৫) গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। মামলার এজাহারে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠকের অভিযোগ করা হয়েছে। তবে বিএনপির নেতারা বলেছেন, জনস্রোত ঠেকাতে সরকার পুলিশকে দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ‘গায়েবি’ মামলা দিচ্ছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গতকাল সোমবার সরিষাবাড়ী পৌরসভার পপুলার যাত্রীছাউনির সামনে কতিপয় দুষ্কৃতকারী নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠকে জমায়েত হন। গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাঁরা পালিয়ে যান। এ সময় সেখান থেকে ভাটারা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য জুয়েল আকন্দকে (৪৫) আটক করে পুলিশ। এজাহারে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি অবিস্ফোরিত ককটেল, একটি বস্তায় ভরা ৩০টি ইটের টুকরা ও ১৪টি বাঁশের লাঠি জব্দের কথা উল্লেখ করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরিষাবাড়ী থানার এসআই শহীদুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার একজনকে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার বলেন, বিএনপির জনস্রোত ঠেকাতে সরকার নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে দিয়ে ‘গায়েবি মামলা’ করেছে। তিনি এর তীব্র নিন্দা জানান।