ঘোড়াঘাটে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে শাশুড়ি গ্রেপ্তার, স্বামী ও শ্বশুর পলাতক

হাতকড়া
প্রতীকী ছবি

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে মনিরা খাতুন (২৬) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তাঁর শাশুড়ি ছকিনা বেগমকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে মনিরার বাবা আবদুল মমিন মিয়া বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করলে ছকিনা বেগমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মনিরার মৃত্যু হয়।

মনিরা খাতুন ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের সাখাওয়াত মিয়ার স্ত্রী ও একই উপজেলার ভূতগাড়ি গ্রামের আবদুল মমিন মিয়ার মেয়ে। ঘটনার পর থেকে মনিরার স্বামী সাখাওয়াত মিয়া (৩২) ও শ্বশুর মামুনুর রশিদ পলাতক।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাত বছর আগে মনিরা খাতুনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে সাখাওয়াত মিয়ার বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে চার বছরের একটি ছেলেসন্তান আছে। তবে কয়েক বছর ধরে সাখাওয়াত ও মনিরার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এ নিয়ে একাধিবার গ্রাম্য সালিস বৈঠকও হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে মনিরাকে সাখাওয়াত বেধড়ক মারধর করেন। এতে মনিরা অচেতন হয়ে পড়েন। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে মনিরাকে উদ্ধার ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু হাসান কবির প্রথম আলোকে বলেন, গৃহবধূ নিহতের খবর পেয়ে আজ সকালে থানা–পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যায়। পরে গৃহবধূর মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। গৃহবধূর শরীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এদিকে দুপুরে মনিরার বাবা বাদী হয়ে জামাতা সাখাওয়াত মিয়া, শ্বশুর মামুনুর রশিদ ও শাশুড়ি ছকিনা বেগমকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে বেলা আড়াইটার দিকে অভিযুক্ত শাশুড়িকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য দুই আসামি পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।