৩০ মিনিটের ব্যবধানে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত সভাপতি হাসান মঞ্জুরের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। হামলা-ভাঙচুর, হত্যাচেষ্টা, হামলা, ছিনতাই ও চুরির অভিযোগে ওই মামলা দুটি করা হয়।
সেনবাগ পৌরসভা শ্রমিক দলের সাবেক আহ্বায়ক মহিন উদ্দিন ও উপজেলার ইদিলপুর গ্রামের বাসিন্দা ও যুবদলকর্মী মো. করিম বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। ২২ জানুয়ারি বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে এবং ৫টা ৫০ মিনিটে মামলা দুটি থানায় রেকর্ড করা হলেও বিষয়টি গোপন রাখা হয়। পরে ওই মামলায় গতকাল শনিবার রাতে মো. নাছির (৩১) নামে যুবলীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তারের পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
মামলা হওয়ার খবরে হাসান মঞ্জুর প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে দুটি সাজানো মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে শুধু তাঁকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য।
শ্রমিক দলের নেতা মহিন উদ্দিনের দায়ের করা মামলায় হাসান মঞ্জুর ছাড়াও আরও একজনকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৪ জানুয়ারি সেনবাগ উপজেলা পরিষদের গেটের পাশে মহিন উদ্দিনের দোকানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের পাশাপাশি বাদীকে হত্যার চেষ্টা করেন আসামিরা।
অপর দিকে যুবদলের কর্মী মো. করিমের দায়ের করা মামলায় হাসান মঞ্জুরসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিকেলে অর্জুনতলা ইউনিয়নের ছিলোনিয়া বাজারে বাদী মো. করিমকে হাসান মঞ্জুরসহ পাঁচজন আসামি মারধর করেন। পাশাপাশি তাঁর পকেট থেকে এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন।
ঘটনার এত দিন পর কেন মামলা করেছেন, জানতে চাইলে একটি মামলার বাদী মহিন উদ্দিন বলেন, ঘটনা যখন ঘটেছিল, তখন মামলা করার মতো পরিবেশ ছিল না। এখন পরিবেশ অনুকূলে হওয়ায় দলের নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি মামলা করেছেন।
অপর মামলার বাদী মো. করিমের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
বহিষ্কৃত জাতীয় পার্টির নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মিজানুর রহমান। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, বাদী অভিযোগ নিয়ে আসার পর প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে সেটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় নাছির নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।