নেত্রকোনায় শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে জেলের নৌকা আটকে চাঁদা দাবির অভিযোগ
নেত্রকোনার খালিয়াজুরিতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া এক জেলের নৌকা আটকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জেলে গতকাল শনিবার খালিয়াজুরি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে কামরুল মিয়াসহ অন্তত ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত কামরুল মিয়া খালিয়াজুরি উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি। তিনিসহ অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পাঁচহাট গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগকারী জেলে মো. মামুন মিয়াও একই গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জীবিকার প্রয়োজনে মামুন মিয়া ধনু নদে মাছ ধরেন। উপজেলার পাঁচহাট এলাকায় ধনু নদে কামরুল মিয়াসহ কয়েকজন ব্যক্তি বাঁশের ঘের দিয়ে ‘মিম’ (মাছের আবাসস্থল) তৈরি করে রেখেছেন। স্থানীয় জেলেরা সেখানে মাছ ধরতে গেলে তাঁরা বাধা দেন। গতকাল দুপুরে মামুন মিয়া নদে মাছ ধরতে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁকে বাধা দেন এবং ঘের থেকে ৩০০ মিটার দূরে গিয়ে মাছ ধরতে বলেন। এতে আপত্তি জানালে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর ইঞ্জিনচালিত নৌকা, জাল ও বড়শি কেড়ে নিয়ে নিজেদের ঘাটে আটক রাখেন। এ সময় তাঁরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে। টাকা না দিলে নৌকা ফেরত দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কামরুল মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. আলী উছমান বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি, তবে মামুন মিয়ার অভিযোগটি সত্য নয়। মামুন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘদিন তিনি ধনু নদে চাঁদাবাজিসহ আমাদের দলের নেতা–কর্মীদের হয়রানি করেছেন। মামুনের কাছে এক ব্যক্তি টাকা পান। সেই কারণে ওই ব্যক্তি তাঁর নৌকা আটক করেছিলেন। এখন তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমাদের শ্রমিক দলের নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’
খালিয়াজুরি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনা সত্য হলে এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।