পাবনায় যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা

তাফসির আহমেদ

পাবনার ঈশ্বরদীতে মুখে কাপড় বাঁধা অস্ত্রধারীদের গুলিতে তাফসির আহমেদ (২৪) নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিহত যুবকের মা নাহিদা আক্তার বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার মামলা হওয়ার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতে নিহত যুবকের মা থানায় হাজির হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় মোট ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় বাদীর দাবি, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বালুর ব্যবসা নিয়ে বিরোধে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

মামলা দায়েরের আগে গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন নিহত তাফসিরের স্বজন ও প্রতিবেশীরা। এ সময় তাঁরা প্রায় ৪০ মিনিট পাবনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সেখানেই তাঁরা পথসভা করেন। পথসভায় বক্তব্য দেন নিহত তাফসিরের মা নাহিদা আক্তার, দুই ভাই তানভির রহমান ও সৌরভ হোসেন।

তাফসিরের বড় ভাই তানভির রহমান বলেন, তাঁর ভাই পদ্মা নদীতে মাটি ও বালুর ব্যবসা করতেন। এই ব্যবসা নিয়েই কয় দিন ধরে স্থানীয় কিছু যুবক সঙ্গে বিরোধ চলছিল। তিনি এই হত্যার বিচার চান।

নাহিদা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বুকের ধন ওরা কাড়ে নিছে। আমি কিছুই চাইনে, উগের ফাঁসি চাই।’

এ প্রসঙ্গে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। অস্ত্র উদ্ধারসহ আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।

নিহত তাফসির উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের দিয়ার বাঘইল গ্রামের তানজুন রহমানের ছেলে। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে তিনি পাশের লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের এমপির মোড়ে পাবনা ট্যাংক লরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে বসে ছিলেন।

এ সময় মুখে কাপড় বাঁধা তিন থেকে চারজন অস্ত্রধারী তাঁকে ঘিরে ধরে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।