‘বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত’ শিশুটিকে আসলে ‘হত্যা করা হয়েছিল’

মাইশা খাতুন

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোগাইলবগাদি গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত বলে প্রচার করা সাত বছরের শিশু মাইশা খাতুন আসলে হত্যার শিকার হয়েছিল বলে পুলিশের তদন্তে বের হয়ে এসেছে।

২৯ ফেব্রুয়ারি শিশুটির মা পপি খাতুন বলেন, মাইশা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। এ ঘটনায় পপি খাতুন আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। বিনা ময়নাতদন্তে শিশুটির লাশ দাফনের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়। পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান সরেজমিন তদন্তে নেতিবাচক তথ্য পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। তখন শিশুটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি ও ময়নাতদন্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। শিশুটির নানা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩ মে আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামির বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন। জেলার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ৫ মে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে শিশুটির মা পপি খাতুনের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাঁকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ওই দিন তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ বলছে, বিবাহবিচ্ছেদের পর পপি খাতুন মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। মেয়েকে নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এসব নানা বিষয়ের কথা তিনি জবানবন্দিতে বলেছেন।

পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, স্পর্শকাতর মামলাটি জেলা পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।