নরসিংদীতে ধানখেতে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন নিখোঁজ যুবকের লাশ

লাশ
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর মনোহরদীর ধানখেত থেকে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার গোতাশিয়া ইউনিয়নের কোনাপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার সকালে ওই যুবকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওই যুবকের নাম মো. সুমন মিয়া (৩৫)। তিনি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামে মো. হানিফ মিয়ার ছেলে। সুমন মিয়া চার দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে কোনাপাড়া এলাকার একটি ধানখেতের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েক ব্যক্তি ওই যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। ধানখেতে লাশ পড়ে থাকার খবর ছড়িয়ে পড়লে সেখানে স্থানীয় লোকজনের ভিড় জমে যায়। পরে মনোহরদী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। তবে তখন স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কেউই ওই যুবকের পরিচয় শনাক্ত করতে পারছিলেন না। পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা আঙুলের ছাপ নিয়ে ওই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করেন। রাতেই কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থেকে পরিবারের সদস্যরা থানায় এসে সুমনের লাশ শনাক্ত করেন।

সুমনের বাবা হানিফ মিয়া বলেন, সুমন প্রায় পাঁচ বছর ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। প্রায়ই তিনি অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। এর আগেও একাধিকবার সুমন বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার সুমন কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। নিখোঁজের পর থেকে চার দিন ধরে তাঁকে আশপাশের সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় ওই যুবকের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে হলেও ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য আজ সকালেই সুমনের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।