দুর্ঘটনায় মাকে হারিয়ে দগ্ধ বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে রিনা

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর লাগা আগুনে পুড়ে মারা গেছেন মা রাজিয়া। একই দুর্ঘটনায় দগ্ধ হয়ে বাবা তোতা মিয়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ সোমবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কথা হয় তাঁদের মেয়ে রিনা আক্তারের সঙ্গে।

রিনা বলেন, তাঁর বাবা তোতা মিয়া, মা রাজিয়া, ফুফু দুলেনা খাতুন, ফুফা আক্কাস আলী ও তিন বছরের ভাতিজা ইয়াসিন ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা থেকে ভাড়ায়চালিত একটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় বেড়াতে যাচ্ছিলেন। একই গাড়িতে আরও সাতজন ছিলেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ত্রিশাল উপজেলার রাঙামাটি এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়ে মাইক্রোবাসটি। তখন মাইক্রোবাসে আগুন ধরে যায়।

রিনা আক্তারের বাবা ও ফুফাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হলেও ফুফুকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভর্তি হওয়ার পর থেকে বাবা ঘুমাচ্ছেন। মায়ের মৃত্যুর শোক চাপা দিয়ে বাবার পাশে বসে আছি।’

আরও পড়ুন

ত্রিশাল থানার পুলিশ জানায়, ত্রিশালের রাঙামাটি এলাকায় যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুনে পুড়ে চার যাত্রীর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন দুলেনা খাতুন, রাজিয়া ও আহত রুবেল মিয়ার সাত বছরের ছেলে আশিক। তাঁদের সবার বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার খামার ভাসা গ্রামে।

দুর্ঘটনায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ইয়াসিন, তোতা মিয়া, ফেরদৌসী, রুবেল মিয়া ও আক্কাস আলী। তাঁদের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত অজ্ঞাত নারীর পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।