রিনা আক্তারের বাবা ও ফুফাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হলেও ফুফুকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভর্তি হওয়ার পর থেকে বাবা ঘুমাচ্ছেন। মায়ের মৃত্যুর শোক চাপা দিয়ে বাবার পাশে বসে আছি।’
ত্রিশাল থানার পুলিশ জানায়, ত্রিশালের রাঙামাটি এলাকায় যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুনে পুড়ে চার যাত্রীর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন দুলেনা খাতুন, রাজিয়া ও আহত রুবেল মিয়ার সাত বছরের ছেলে আশিক। তাঁদের সবার বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার খামার ভাসা গ্রামে।
দুর্ঘটনায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ইয়াসিন, তোতা মিয়া, ফেরদৌসী, রুবেল মিয়া ও আক্কাস আলী। তাঁদের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত অজ্ঞাত নারীর পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।