জয়পুরহাটে ছেলের কুড়ালের আঘাতে প্রাণ গেল বাবার

জয়পুরহাট জেলার মানচিত্র

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় ছেলের কুড়ালের আঘাতে আহত এক বাবা চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন। আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের আনিপুকুর বাজার এলাকায় ছেলে তাঁর বাবাকে কুড়াল দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

নিহত ওই ব্যক্তির নাম আবদুল আলিম (৪৩)। তিনি উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের আনিপুকুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কৃষিকাজ করে সংসার চালাতেন। ঘটনার পর থেকে ছেলে রেজভী আহম্মেদ পলাতক।

থানা-পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আবদুল আলিম তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী তাছলিমাকে নিয়ে আনিপুকুর গ্রামে থাকতেন। তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করলে তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সন্তান রেজভী আহম্মেদ তাঁর নানার বাড়ি পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের শেকটা গ্রামে গিয়ে বসবাস করেন। সোমবার সন্ধ্যায় রেজভী তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বাবার বাড়ি আনিপুকুর গ্রামে আসেন। তিনি বাবার কাছে জমিজমার ভাগ দাবি করেন। এ নিয়ে গভীর রাতে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রেজভী ঘরে থাকা কুড়াল দিয়ে বাবাকে আঘাত করেন। এ সময় স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে রেজভী তাঁর সৎ মাকেও মারধর করেন। এরপর রাতেই রেজভী তাঁর স্ত্রীসহ পালিয়ে যান।

ঘটনাটি জানার পর প্রতিবেশীরা আবদুল আলিম ও তাছলিমাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল নয়টার দিকে আবদুল আলিম মারা যান। তাছলিমা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী বলেন, ছেলের কুড়ালের আঘাতে বাবার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত আবদুল আলিমের ভাই বাবলু ফকির বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন।