‘সরকার পরিকল্পিতভাবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করছে’

বরিশালে এক সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন। শনিবার রাতে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এ দেশে প্রথম গণতান্ত্রিক পন্থায় সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আর বর্তমান সরকার সেই ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। শুধু গণতন্ত্র নয়, সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করছে। এখন এগুলো মেরামতের বিকল্প নেই।

আজ শনিবার বিকেলে বরিশাল প্রেসক্লাবে ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’–বিষয়ক এক পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ বরিশাল বিভাগীয় কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, এই সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। রাতের আঁধারে ভোটের বাক্স ভরে নিজেদের নির্বাচিত দাবি করে দেশের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান অকার্যকর করেছে। লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু করে দিয়েছে।

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, আজ দেশকে বাঁচাতে, দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে বিএনপি রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা কর্মসূচি দিয়েছে। এসব দাবি বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

এ সময় এ জেড এম জাহিদ হোসেন পেশাজীবীদের উদ্দেশে বলেন, পেশাজীবীরা এই দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এবারও সেই ভূমিকা পালন করতে হবে আপনাদের। আপনারা সব শ্রেণির মানুষকে দেশের এই দুরাবস্থা সম্পর্কে অবহিত করুন। মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে ঐক্যবদ্ধ হোন। এটা দেশের মানুষের অধিকারের বিষয়।

চিকিৎসক অধ্যাপক আজিজ রহিমের সভাপতিত্বে ও মিজানুর রহমানের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এক–এগারো সরকারের সঙ্গে আপোস করেননি বলে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা হয়েছে। ষড়যন্ত্রের মামলায় কেউ জেলে থাকবেন আর একই মামলার আসামি বাইরে থেকে অশুভ নির্বাচন করবেন, তা হতে দেওয়া যাবে না।

রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে বিএনপি ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে মন্তব্য করে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তারেক রহমান গণতন্ত্র রক্ষায় রাষ্ট্রসংস্কারের যে কর্মপন্থা ঘোষণা করেছেন, তা বাস্তবায়নের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের বিকল্প নেই। এ জন্য সব মতপার্তক্য পরিহার করে দেশ বাঁচাতে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে এক কাতারে শামিল হতে হবে।

এতে আরও বক্তব্য দেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গনি চৌধুরী, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া, অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেন, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন (স্বপন), বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক নুরুল আলম (ফরিদ) প্রমুখ।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবায়েদুল হক, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান, সদস্যসচিব মীর জাহিদুল কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার (বাবুল)।