গলাচিপায় ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা, মামলার পর যুবক গ্রেপ্তার

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ধর্ষণের শিকার হয়ে লোকলজ্জার ভয়ে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মামলার পর ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত ব্যক্তি (৪৩) দুই সন্তানের বাবা ও স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওই ব্যক্তিকে একমাত্র আসামি করে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গলাচিপা উপজেলার একটি গ্রামে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাড়ি। সে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। অভিযুক্ত  যুবক ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি মীমাংসায় পারিবারিকভাবে চেষ্টা করলেও অভিযুক্ত যুবক থামেননি। উল্টো ওই ছাত্রীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। গত রোববার ওই ছাত্রী তার মায়ের কাছে জানান, দুই দিন আগে বাড়ির পাশে বাগানে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করেছেন অভিযুক্ত যুবক।

ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে লোকলজ্জা এড়াতে ওই ছাত্রী ওই দিন সন্ধ্যার ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি স্বজনদের নজরে এলে তাকে উদ্ধার করে রাতেই প্রথমে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে ওই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়।

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোনিত কুমার গায়েন প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে আজ সন্ধ্যায় থানায় মামলা করেছেন। মামলার একমাত্র আসামিকে রাতেই অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।