ফরিদপুরে দেবরের বিরুদ্ধে ভাবিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
ফরিদপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দেবর চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তাঁর ভাবিকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুর শহরের কমলাপুর মহল্লার লালের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম মাজেদা পারভীন (৪৩)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁর দেবর হলেন আবদুর রব (৭০)।
নিহত মাজেদা পারভীনের ছেলে রুহুল আমিন অভিযোগ করেন, ‘আমার চাচা আবদুর রব সব সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়ায় বাবা তাঁকে (চাচাকে) দুই শতাংশ জমি দিয়েছিলেন। পরে চাচা আমাদের কাছে ওই জমিও বিক্রি করে দেন।
কিছুদিন আগে টাকাও পরিশোধ করে দিই আমরা। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে আমার মায়ের কাছে টাকা চাইতে যান চাচা। মা বলে দেন, “টাকা পরিশোধ হয়ে গেছে।”এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা মায়ের মাথায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।’
স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের কমলাপুর লালের মোড় এলাকার বাসিন্দা রাজা মিয়া। সেখানে একটি বাড়িতে রাজা মিয়া তাঁর স্ত্রী মাজেদা পারভীনকে নিয়ে বসবাস করতেন।
রাজা মিয়ার পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তাঁর মেজ ভাই আবদুর রব। আবদুর রবের স্ত্রী ও সন্তান ঢাকায় থাকে। রাজা মিয়া ও আবদুর রবের মধ্যে বসতবাড়ির জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। কিছুদিন আগে আবদুর রবকে জমির জন্য কিছু টাকা দেওয়ার কথা ছিল রাজা মিয়ার। এর জেরেই গতকাল বিকেলে রাজা মিয়ার স্ত্রী মাজেদা পারভীনের কাছে টাকা চাইতে যান আবদুর রব।
মাজেদা পারভীন তাঁকে বলেন, ‘টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।’ এ কথা শুনেই আবদুর রব ক্ষুব্ধ হয়ে চাপাতি দিয়ে তাঁর ভাবিকে কোপান। আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় মাজেদা পারভীনকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে আবদুর রব পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই আবদুর রব পলাতক। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।