বরিশালে বিএনপির মিছিলে পুলিশের বাধা, আটক ২

বরিশাল মহানগর বিএনপির কার্যালয় ও আশপাশে সকালে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য অবস্থান নেন। এ কারণে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পালন করতে পারেনি বিএনপি। মঙ্গলবার সকালে নগরের সদর রোডের মহানগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনেছবি: সাইয়ান

সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে বরিশালে বিএনপির ডাকা কালো পতাকা মিছিল পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে নির্ধারিত স্থানে হয়নি। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সরে গিয়ে নগরের বিএম কলেজ এলাকায় কালো পতাকা মিছিল করেছেন নেতা-কর্মীরা।

কালো পতাকা মিছিলের আগে স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ হোসেন ও নগরের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক বেল্লাল হোসেন।

দলীয় নেতা-কর্মী, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয় চত্বর থেকে কালো পতাকা মিছিল বের করার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল মহানগর বিএনপির। এ জন্য নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা সদর রোডের মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আগে থেকেই বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য দলীয় কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন। ফলে পতাকা মিছিল না করেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে সরে যান।

কালো পতাকা মিছিলের আগে স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের দুজন নেতাকে আটক করে পুলিশ
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অবস্থানকারী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. ফজলুল করিম বলেন, যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে সদর রোডে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ সময় সন্দেহজনক ঘোরাফেরার কারণে সেখান থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সরে গিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পরে দুপুর ১২টার দিকে নগরের বিএম কলেজ এলাকায় জড়ো হন। সেখান থেকে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খানসহ অন্যান্য নেতার নেতৃত্বে একটি কালো পতাকা মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নথুল্লাবাদে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আফরোজা খানম, জহির উদ্দিন, হালিম মৃধাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পর্যন্ত পুলিশ করতে দেয়নি। কিন্তু দমন-পীড়ন চালিয়ে বিএনপির এক দফার আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির একজন নেতা-কর্মীও ঘরে ফিরে যাবে না।’