ফেনীতে ফেসবুকে ‘হা হা রিঅ্যাক্ট’ দেওয়াকে কেন্দ্র করে চার কিশোরকে ছুরিকাঘাত

ফেনীতে ছুরিকাঘাতে আহত এক কিশোরকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গতকাল রাতে ফেনী জেনারেল হাসপাতালেপ্রথম আলো

ফেনীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্টে ‘হা হা রিঅ্যাক্ট’ (ইমোজি) দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক কিশোরের ছুরিকাঘাতে অপর চার কিশোর আহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টায় ফেনী সদর উপজেলার কাজীরবাগ ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা জানান, এ ঘটনায় ফেনী সদর উপজেলার পশ্চিম সোনাপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে শরীফুল ইসলাম (১৭), মো. শাহীনের ছেলে রিজন (১৬), নুরুল আবছারের ছেলে মো. অমিত হাসান (১৮) ও এয়াকুব মিয়ার ছেলে জিসান (১৭) আহত হয়। আহতদের মধ্যে শরীফ ও রিজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি পশ্চিম সোনাপুর গ্রামের কিশোর অমিত হাসানের ফেসবুক পোস্টে হা হা রিঅ্যাক্ট দেয় ওই এলাকার আরেক কিশোর (১৭)। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে সোনাপুর ইসলামি সেন্টারের সামনে অমিত হাসানসহ ৬ থেকে ৭ জন কিশোর হা হা রিঅ্যাক্ট দেওয়ার কারণ জানতে চায় ওই কিশোরের কাছে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ‘হা হা রিঅ্যাক্ট’ দেওয়া কিশোর পকেট থেকে ছুরি বের করে চারজনকে ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক কিশোরের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অমিতের সঙ্গে ‘হা হা রিঅ্যাক্ট’ দেওয়া কিশোরের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শেখ সাইদুর রহমান বলেন, আহত ব্যক্তিদের চারজনের মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি চলে যায়।

ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিশোরকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে মামলা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে।