বাগেরহাটে ঈদের দিনে সংঘর্ষ জড়াল দুটি গোষ্ঠী, প্রাণ গেল দুজনের, রক্তাক্ত আরও ৩০
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ঈদের দিনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে মোল্লাহাট, গোপালগঞ্জ ও খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় পর্যায়ে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ববিরোধের জেরে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের সিংগাঁতি গ্রামের উত্তরপাড়ায় ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন সিংগাঁতি গ্রামের উত্তরপাড়ার মোশারেফ চৌধুরীর ছেলে আজিজুল চৌধুরী (৪০) ও একই এলাকার এরশাদ চৌধুরী ছেলে মুরসালিন চৌধুরী (৩০)। তাঁরা পরস্পরের চাচাতো ভাই।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিংগাঁতি গ্রামের উত্তরপাড়ার মাসুম চৌধুরী ও এরশাদ চৌধুরীর মধ্যে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব বহু পুরোনো। জমি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এর আগেও উভয় পক্ষ ছোটখাটো বিভিন্ন বিষয়ে একাধিকবার সংঘর্ষে জড়ায়। গতকাল দুপুরে কোরবানির মাংস বিতরণের পর দুই পক্ষের দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এর জেরে সন্ধ্যার দিকে এরশাদ চৌধুরীর লোকজনের বাড়িতে ঢাল–সড়কি, রামদাসহ দেশী অস্ত্র নিয়ে হামলা করে প্রতিপক্ষ। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন রক্তাক্ত হন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা আজিজুল চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে মারা যান মোরসালিন চৌধুরী। নিহত দুজনই এরশাদ চৌধুরী পক্ষের।
তবে সংঘর্ষের বিষয়ে দুই পক্ষের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন জড়িত ব্যক্তিরা।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। নতুন করে যাতে আর সংঘর্ষ হতে না পারে, সে জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ৫০ বছর ধরে ওই দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। গতকালের ওই ঘটনায় দুজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।