সিলেটের ওসমানীনগরে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে স্কুলছাত্রীর (১৪) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনার পর দুই দিন কেটে গেছে। তবে এ ঘটনায় আজ শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এখনো কাউকে আটকও করেনি পুলিশ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে ওসমানীনগরের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নির্মাণাধীন ভবনটির মালিক ওসমানীনগরের তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অরুণোদয় পাল।
নিহত কিশোরীর বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায়। তবে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সে ওসমানীনগরের একটি বাসায় ভাড়া থাকত। লাশ উদ্ধারের সময় ওই কিশোরীর মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নিহত ছাত্রীর স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। বাবার ব্যবসাসূত্রে দীর্ঘদিন ধরে তারা ওসমানীনগরে থাকে। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে বাবার ঘুম ভাঙলে তিনি মেয়েকে বাসায় পাননি। পরে খোঁজাখুঁজি করে দেখেন, ঘরের দরজা ও ভবনের নিচের ফটকের দরজার তালা খোলা। এ সময় ঘরের দুটি মুঠোফোন পাওয়া যায়নি। পরে বিষয়টি মেয়ের মামাকে জানান পরিবারের লোকজন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে নির্মাণাধীন একতলা ভবনের ছাদে কিশোরীর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন লোকজন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
ওই কিশোরীর বাবা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, মেয়ের শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে তাঁরা এখন কুমিল্লায়। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হবে কি না, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।’ এর বাইরে তিনি আর কিছু বলতে চাননি।
সিলেটের ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, গতকাল শুক্রবার স্কুলছাত্রীর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি। এ ছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগও করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ওই ছাত্রীর পরিবার যে ভবনে ভাড়া থাকত, একই ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে গত বছরের ২৬ জুলাই সকালে প্রবাসী পরিবারের পাঁচ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন এবং পরে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছিল।