ডাকাতের কবলে পড়ার পর না খেয়ে দুই দিন সাগরে ১৫ জেলে
দুই দিন আগে বঙ্গোপসাগরে ডাকাত দলের কবলে পড়ে ট্রলারটি (মাছ ধরার নৌযান)। ইঞ্জিনের তেল, খাবার, মাছ, জাল সবকিছুই লুট হয়। এর পর থেকে এভাবেই সাগরে ভাসছিলেন নৌযানে থাকা ১৫ জন জেলে। দুই দিন এভাবেই থাকার পর অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে তাঁদের উদ্ধার করে হাতিয়ার ভাসানচর কোস্টগার্ড। আজ শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
কোস্টগার্ড জানায়, জেলেরা মাছ ধরতে গভীর সাগরে গিয়েছিলেন। এ কারণে ওই এলাকায় মুঠোফোনের নেটওয়ার্কও ছিল না। দুই দিন সাগরে ভেসে থাকার পর নৌযানটি সাগরের উপকূলে আসে। এরপর মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়ায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন জেলেরা। খবর পেয়ে ওই নৌকাসহ জেলেদের উদ্ধার করা হয়।
কোস্টগার্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৮ আগস্ট মাছ ধরার উদ্দেশ্যে হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাট থেকে ইউছুফ মাঝিসহ ১৫ জন জেলে নৌযানটি নিয়ে সমুদ্রে যান। পরে গত মঙ্গলবার হাতিয়ার চর ঈশ্বর ইউনিয়নের গাঙ্গুরিয়ার চরের দক্ষিণে গভীর সমুদ্রে ডাকাতের কবলে পড়েন। এ সময় ডাকাতেরা তাঁদের মাছ, খাবার, ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ, তেল ও অন্যান্য সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যায়। উদ্ধারের পর জেলেদের খাবারের ব্যবস্থা করে কোস্টগার্ড। পরে গতকাল রাত আড়াইটার দিকে তাঁদের চেয়ারম্যানঘাট পাঠানো হয়।
কোস্টগার্ডের ভাসানচর স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রাতে তাঁরা বিকল ইঞ্জিনের নৌযানসহ জেলেদের উদ্ধারের পর ভাসানচরের ১ নম্বর ঘাটে আনেন। উদ্ধারকালে ১৫ জনের সবাই সুস্থ ছিলেন।