কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব, সদস্যসচিব জাকির

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দিয়েছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকারকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভেরিফায়েড পেজ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আাগে ১২ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বাতিল করা হয়।

দলীয় সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ৮ মে সৈয়দ মেহেদী আহমেদকে সভাপতি ও সোহরাব উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল রেখে জেলা বিএনপির ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। এর আগে ২০১২ সালে গঠিত কমিটিতে এ দুজন একই পদে ছিলেন। দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় হতাশায় ছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার বলেন, ৫ আগস্টের পর সারা দেশেই বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। কুষ্টিয়ায় সেটা প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তারপরও ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটেছে। নতুন করে সুযোগ পাওয়ায় দলকে আরও সুসংগঠিত করা হবে। কুষ্টিয়ায় আর কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটবে না। যাঁরা এর আগে দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

মিরপুর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের এক দিন পর বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে বিএনপির কমিটি। বুধবার রাতেই দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।

এর আগে ২০১৬ সালে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এতে আবদুল হককে সভাপতি ও রহমত আলীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেন।

গত মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির সভাপতি আবদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রহমত আলীর নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত সাধারণ সম্পাদক রহমত আলীকে ঢাকায় ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি। গ্রেপ্তারও নেই।