রংপুরে নিখোঁজের আট দিন পর ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

হত্যাপ্রতীকী ছবি

রংপুরের পীরগাছায় নিখোঁজের আট দিন পর রুবেল মিয়া (১৫) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে কল্যাণী ইউনিয়নের মদকপাড়া গ্রামের একটি ধানখেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে গতকাল দুপুরে নিহত রুবেলের ভগ্নিপতিসহ গ্রেপ্তার হন দুই ব্যক্তি। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত রুবেল মিয়া ছোট কল্যাণী তালতলা গ্রামের ও বাসিন্দা ও একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় রুবেলের ভগ্নিপতি হাসান আলী (৪০) এবং সোহাগ হোসেন (২০) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রুবেলের ভগ্নিপতি হাসান আলীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাত ৯টার দিকে ওই স্থান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ২ জুন রাত ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় রুবেল। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও রুবেলের সন্ধান না পেয়ে তার বাবা বেলাল হোসেন ৩ জুন দুপুরে মাহিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

জিডির সূত্র ধরে রুবেলের ভগ্নিপতি হাসান আলীকে সন্দেহভাজন হিসেবে গতকাল সোমবার দুপুরে আটক করে পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (অপরাধ) উৎপল কুমার রায় বলেন, নিখোঁজের পর থেকে একাধিক নম্বর থেকে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন রুবেলের ভগ্নিপতি হাসান আলী। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে রুবেলকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে আসল রহস্য উদ্‌ঘাটন হবে।

আরও পড়ুন