সরিষাবাড়ীতে মুরাদ হাসান ও মাহবুবুরের সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১০

জামালপুর জেলার মানচিত্র

জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আলোচিত সংসদ সদস্য মুরাদ হাসানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে সরিষাবাড়ী পৌরসভার শিমলাবাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাত আটটার দিকে সরিষাবাড়ী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শিমলাবাজার এলাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদবিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের সমর্থকেরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি শিমলাবাজারসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে এলে মুরাদ হাসানের নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট সাখাওয়াত আলমের নেতৃত্বে কর্মী-সমর্থকেরা বাধা দেন। এ সময় দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তাঁদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটার আঘাতে দুপক্ষের ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী থানা-পুলিশ ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) একটি টহল দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মারামারির ঘটনায় ১০ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কারোর অবস্থাই গুরুতর নয়।

এ ঘটনায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমানের পক্ষে গতকাল রাতেই সরিষাবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মুরাদ হাসানের সমর্থকেরা আমার নৌকা প্রতীকের মিছিলের সামনে বাধা দেয়। এ সময় কয়েকজন কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়।’

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হাসানের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে থানায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে মামলা নেওয়া হবে।