সিলেট থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে, পিকেটিংয়ের সময় ছাত্রদলের কর্মী আটক

বিএনপির ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিনে সিলেটের বিভিন্ন সড়কে চলছে দূরপাল্লার যানবাহন। সিলেট-জকিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে চলছে বাস ও ছোট যানবাহন। ছবি আজ সকালে কদমতলী এলাকায় তোলাছবি: আনিস মাহমুদ

‘একতরফা’ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিনেও আজ সোমবার সকাল থেকে সিলেট নগরে যানবাহনের চলাচল কম। তবে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে আজ দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যাচ্ছে। এদিকে সকাল আটটার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পিকেটিংয়ের সময় ছাত্রদলের এক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান জানিয়েছেন, আটক ছাত্রদল কর্মীর নাম আবদুস সামাদ। পিকেটিংয়ের সময় ধাওয়া দিয়ে তাঁকে আটকের বিষয়টি দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহাও নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাতটার দিকে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার বদিকোনা এলাকায় পিকেটিং করছিলেন। এ সময় সড়কে চলাচল করা যানবাহনে তাঁরা ঢিল ছোড়েন ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। সকাল আটটার দিকে ওই এলাকায় পুলিশ উপস্থিত হলে পিকেটাররা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ধাওয়া দিয়ে ছাত্রদলের কর্মী আবদুস সামাদকে আটক করে পুলিশ।

সিলেটের বিভিন্ন সড়কে দূরপাল্লার বাস চললেও যাত্রী ছিল কম। আজ সকালে কদমতলী বাস টার্মিনাল এলাকায়
ছবি: আনিস মাহমুদ

এ ছাড়া সকাল পৌনে ৯টার দিকে সিলেট নগরের উপশহর মোড় এলাকায় হরতালের সমর্থনে একদল যুবক মোটরসাইকেলে মহড়া দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে পিকেটাররা পালিয়ে যান।

জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, সিলেট নগরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দলীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা হরতালের সমর্থনে পিকেটিং ও বিক্ষোভ করেছেন। দক্ষিণ সুরমায় পুলিশ ছাত্রদলের এক নেতাকে আটক করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা অবৈধ তফসিল বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে না যাওয়ার শপথ নিয়েছি।’

আরও পড়ুন

আজ সকাল থেকে সিলেট নগরের সড়কগুলোতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, লেগুনা, মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত কার চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে পরিমাণে তা কম। সিলেটের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে স্বল্পসংখ্যক যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যাচ্ছে।

বিএনপির ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলছে বাস। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোমিনখলা এলাকায় আজ সকালে
ছবি: আনিস মাহমুদ

বাসচালক ও মালিকদের দাবি, যাত্রী কম থাকায় বাসও কম। যাত্রী বেশি থাকলে বেশি বাস ছাড়বে। তবে সিলেটের আঞ্চলিক সড়কে চলাচলকারী বাসের সংখ্যা স্বাভাবিক দেখা গেছে।

বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. জিয়াউল কবির বলেন, গত শনিবার ঢাকায় মালিক সমিতির সভা হয়। এতে হরতাল-অবরোধেও বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দূরপাল্লার বাসে যাত্রী বিবেচনায় বাস কিছুটা কম। তবে যাত্রী বাড়লে পরিবহনের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম বলেন, পুলিশ জনগণের জানমাল রক্ষায় দিনরাত ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় আছে। জেলা পুলিশের একাধিক দল সড়ক ও মহাসড়কে টহলের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।