তিস্তায় গোসলে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, আরেকজনের সন্ধান মেলেনি

মুন্না মিয়া
ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ ছিলেন দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থী। ঘটনার অন্তত ৩৩ ঘণ্টা পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মুন্না মিয়া (১৮) নামের এক পরীক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তবে নাইস আহম্মেদ (১৮) নামের আরেক শিক্ষার্থীর খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।

মারা যাওয়া মুন্না মিয়া গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়ন পরিষদের পূর্বকচুয়া আবাসনপাড়া গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে। নদীতে নিখোঁজ থাকা অপর পরীক্ষার্থী নাইস আহম্মেদ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের গনেশের বাজার এলাকার মোনাব্বের হোসেনের ছেলে। তাঁরা দুজনেই এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নোহালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মইনুল ইসলাম ও স্থানীয় বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম জানান, গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুন্না, নাইসসহ ছয়জন গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়ন পরিষদের কচুয়া বাজারের পাশে তিস্তা নদীতে গোসলে নামেন। এরপর তাঁরা সেখানে সাঁতার কাটা শুরু করেন। কিন্তু নদীর মধ্যখানে গিয়ে তাঁরা সবাই কমবেশি হাবুডুবু খেতে থাকেন। এ সময়ে নদীর পাড়ে থাকা দুই ব্যক্তি বিষয়টি বুঝতে পেরে ঘাটে বেঁধে রাখা নৌকা নিয়ে দ্রুত গিয়ে চারজনকে উদ্ধার করেন। কিন্তু ততক্ষণে তিস্তার স্রোতে মুন্না ও নাইস পানিতে ভেসে যান।

নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর স্বজনদের আহাজারি। গতকাল দুপুরে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়নে
ছবি: প্রথম আলো

খবর পেয়ে গত বুধবার বেলা তিনটা থেকে সন্ধা সাতটা পর্যন্ত গঙ্গাচড়ার ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও রংপুরের পাঁচ সদস্যের একদল ডুবুরি ওই নদীতে নেমে উদ্ধার অভিযান চালান। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত পুনরায় নদীতে নেমে তাঁরা উদ্ধার তৎপরতা চালান। খোঁজ না পেয়ে ডুবুরি দল হতাশ হয়ে অভিযান বন্ধ ঘোষণা করে চলে যান।

এ অবস্থায় গতকাল রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত তিন কিলোমিটার দূরে গঙ্গাচড়ার বরাইবাড়ি পাইকান ব্যাংকপাড়া এলাকায় নদীতে মুন্না মিয়ার লাশ ভেসে ওঠে। এলাকার লোকজন তা দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, উদ্ধার লাশটি এইচএসসি পরীক্ষার্থী মুন্না মিয়ার। তবে নদীতে নিখোঁজ অপর পরীক্ষার্থী নাইস আহম্মেদের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।