যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আবদুল হালিম নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল হালিম শৈলকুপার দেবীনগর গ্রামের ছাত্তার মণ্ডলের ছেলে। তবে রায় ঘোষণার সময় আবদুল হালিম আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) বজলুর রহমান বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২৩ বছর আগে শৈলকুপার দেবীনগর গ্রামের আবদুল হালিমের সঙ্গে ববিতা খাতুনের বিয়ে হয়। এর পর থেকেই যৌতুকের জন্য ববিতাকে নির্যাতন করতেন আবদুল হালিম। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ববিতাকে শ্বাসরোধ করে আবদুল হালিম হত্যা করেন। এ ঘটনার পরের দিন বাড়ির পাশের একটি মেহগনিবাগান থেকে ববিতার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই ববিতার ভাই বাদী হয়ে আবদুল হালিমসহ তিনজনকে আসামি করে শৈলকুপা থানায় মামলা করেন।

পরে ২০১৪ সালের ২৬ মে শৈলকুপা থানা–পুলিশ মামলার অন্য দুই আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে ও আবদুল হালিমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। শুনানি শেষে আদালত আজ আবদুল হালিমকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।