কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় মারা যাওয়া ইমাম হোসেন ওরফে বাচ্চু
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় ইমাম হোসেন ওরফে বাচ্চু (৪৪) নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এক আইনজীবীকে হত্যা এবং একটি হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি। এই দুই মামলায় গত ৩০ মার্চ গ্রেপ্তারের পর তিনি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন।

আজ শনিবার সকালে বুকে ব্যথা অনুভব করলে ইমামকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল ৯টায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ইমাম হোসেন কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতির পদে আছেন। তিনি নগরের মোগলটুলি এলাকার গোলাম মাওলার ছেলে। তিনি কুমিল্লা-৬ (সিটি, আদর্শ সদর ও সেনানিবাস এলাকা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের অনুসারী ছিলেন।

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার হালিমা খাতুন জানান, ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার দুটি মামলা ছিল। এ দুই মামলায় গত ৩০ মার্চ যৌথ বাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ওই দিনই আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। হাজতি ইমাম হোসেন আজ সকালে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই কারা অভ্যন্তরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। তাৎক্ষণিক তাঁকে কারা হাসপাতালের সহকারী সার্জনের কাছে নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তাঁকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সকাল ৯টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জ্যেষ্ঠ জেল সুপার হালিমা খাতুন আরও বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ইমাম হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট নগরের মোগলটুলিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আইনজীবী আবুল কালামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার ৪ নম্বর আসামি ইমাম হোসেন। একই এলাকার আরেকটি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।