বান্দরবানে দুপুরের পর বন্ধ ব্যাংক লেনদেন

বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখার সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরা। আজ দুপুরেছবি: প্রথম আলো

পরপর দুই দিন দুই উপজেলায় তিন ব্যাংকে ডাকাতির পর নিরাপত্তার কারণে বান্দরবানের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১২ থেকে কার্যত লেনদেন বন্ধ রাখা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেলার রুমা বাজারে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যরা সোনালী ব্যাংকের টাকা লুটের পাশাপাশি ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপককেও অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর থানচিতে আজ দুপুরে কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকেও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, এ ঘটনার সঙ্গে কেএনএফ জড়িত।

সোনালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রুমা ও থানচির ঘটনাস্থল পরিদর্শনে রয়েছেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন,  পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন রুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাঁদের পরিদর্শনের সময় দুপুর ১২টার দিকে রুমা বাজারে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখায় ডাকাতি করে কেএনএফ। তাদের কী পরিমাণ টাকা খোয়া গেছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

রুমার পর থানচিতে ডাকাতির ঘটনায় জেলাজুড়ে ব্যাংকিং সেক্টরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের সাতটি শাখায় লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত ও বাণিজ্যিক ব্যাংকেও কমবেশি লেনদেন বন্ধ করে দরজা লাগিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যাংক বন্ধ করার বিষয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই। তারা বন্ধ যদি রাখে, সেটা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনায় রাখবে।’

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক চট্টগ্রাম উত্তরের মহাব্যবস্থাপক বলেন, ‘রুমার পর আজ থানচি বাজারে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা হয়েছে। এর পর থেকে আমরা বলে দিয়েছি, নিরাপত্তার দিক বিবেচনায় রেখে খোলা রাখলে রাখবে, বন্ধ করলে করবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওই মহাব্যবস্থাপক বলেন, ‘রুমা শাখা থেকে কত টাকা লুট হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। ম্যানেজারকেও এখনো পাওয়া যায়নি। থানচি শাখা থেকে লুট হয়েছে কি না, তা এখনো জানতে পারিনি।’

উল্লেখ্য, বান্দরবানের সাত উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের সাতটি শাখা রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ব্যাংকের শাখাও রয়েছে। সদরের কিছু কিছু শাখা সীমিত আকারে লেনদেন করলেও অন্যান্য উপজেলার শাখাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।

বান্দরবান সদরের ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাঁদের লামা শাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সদর শাখায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে সীমিত আকারে লেনদেন করা হচ্ছে।