রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রিক্তা হত্যা মামলায় স্বামীর তিন দিনের রিমান্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রিক্তা আক্তার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত স্বামীর তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪-এর বিচারক ফয়সাল তারেক এ আদেশ দেন।

নগরের মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দীপ্ত কুমার সিং এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তাঁরা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪-এ অভিযুক্ত ব্যক্তির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আসামিকে আজ বৃহস্পতিবার থেকে রিমান্ডে নেওয়া হবে।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী নগরের ধরমপুর পূর্বপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে রিক্তা আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়। রিক্তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জোতপাড়া গ্রামে। তাঁর স্বামী আবদুল্লাহ ইসতিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। আড়াই বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। দুজনে নগরের ধরমপুর পূর্বপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা লিয়াকত জোয়ারদার একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় আবদুল্লাহ ইসতিয়াক গ্রেপ্তার আছেন।

ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে থেকে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি উভয় পরিবারে জানাজানি হয়। ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে শর্ত দেওয়া হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলে বিয়ে হবে। দুজনেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এরপর তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর রিক্তাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেনে নেয়নি।

রিক্তা আক্তারের বাবা লিয়াকত জোয়ার্দার এজাহারে এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ইসতিয়াক মাঝেমধ্যে ছোটখাটো ঘটনা নিয়ে রিক্তার সঙ্গে ঝগড়াবিবাদ ও মারপিট করতেন। বাবার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে দিতেন না। গত শুক্রবার একটি কক্ষে তাঁর মেয়েকে শ্বাসরোধে মেরে জানালার গ্রিলে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে ইসতিয়াক ফোন করে তাঁদের জানান, রিক্তা গলায় ফাঁস দিয়েছেন।