হবিগঞ্জে অনুমোদনহীন হাসপাতালে নার্স দিয়ে সিজার, পরিচালককে সাজা

হবিগঞ্জ শহরে অনুমোদনহীন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ছাড়াই নার্স দিয়ে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করার দায়ে ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দ্য পপুলার জেনারেল হাসপাতালে জেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযান চালান। সিভিল সার্জন মোহাম্মদ নূরুল হক অভিযানে নেতৃত্ব দেন। দণ্ড পাওয়া ব্যক্তির নাম তারেক আজিজ খান। তিনি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার শরীফখানী মহল্লার বাসিন্দা। আজ শুক্রবার সকালে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুল হক। শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার দ্য পপুলার জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা দেখেন, অনুমোদনহীন হাসপাতালে চিকিৎসক ছাড়াই নার্স দিয়ে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে এক প্রসূতি মায়ের। পাশাপাশি হাসপাতালে জীবন বিপন্ন হতে পারে, এমন অস্ত্রোপচারের আলামতও দেখতে পান। এ সময় হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক আজিজ খানকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁকে সাজা দেওয়া হয়।

সিভিল সার্জন মোহাম্মদ নূরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে তাঁরা এ অভিযান চালান। অভিযানে পপুলার হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান, চিকিৎসক ছাড়াই নার্সের মাধ্যমে এক গৃহবধূর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। পরে বিশেষজ্ঞ সার্জন এনে তিনি অস্ত্রোপচারের কাজটি সম্পন্ন করেন। হাসপাতালটির নিবন্ধন না থাকায় এবং চিকিৎসক ছাড়া অস্ত্রোপচার করায় ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পৃথক দুই ধারায় ৭ দিনের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

অন্যদিকে একই দিনে শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকার দ্য অ্যাপোলো হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিষ্ঠানটিতে তালা লাগিয়ে দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় সিভিল সার্জন মোহাম্মদ নূরুল হকসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও র‍্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।