সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ ঘণ্টার যানজট

সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে ১০ ঘণ্টার দীর্ঘ যানজটে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে ১০ ঘণ্টার দীর্ঘ যানজটে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। এ সময় সীতাকুণ্ড পৌর সদরের বটতল এলাকা থেকে কুমিরা ইউনিয়ন পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথে অসংখ্য গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পরে গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মহাসড়কের উভয় লেনে যান চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।

বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গোলাম রব্বানী বলেন, দীর্ঘ সময় যানজটের কারণে অনেক চালক গাড়ি বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। হেঁটে হেঁটে গিয়ে চালকদের জাগিয়ে তুলতে সময় বেশি লেগেছে।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল বিকেল চারটার দিকে মহাসড়কের বটতল এলাকায় স্ক্র্যাপবাহী একটি লরিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি রডবাহী লরি। দুর্ঘটনার পর বার আউলিয়া হাইওয়ে থানা ও কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দুটি ক্রেন দিয়ে চেষ্টা করেও রডবাহী লরিটি সরানো যায়নি। ফলে বটতল এলাকায় লাগা যানজট দীর্ঘ হতে থাকে।

গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের সুলতান মন্দির এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইঞ্জিন ও লাইট বন্ধ করে দূরপাল্লার গাড়িগুলো দাঁড়িয়ে আছে।

এ সময় স্থানীয় যাত্রীদের অনেককে হেঁটে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়। চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চম্পা রুলিং মিল এলাকার বাসিন্দা রিখেল দাস। তিনি বলেন, ‘কুমিরা বাজার এলাকায় এসে যানজটে আটকা পড়েছি। দুই কিলোমিটার দূরে আমার বাড়ি। গাড়ি একেবারেই চলছিল না দেখে হেঁটে রওনা দিচ্ছি।’

এ বিষয়ে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সকালে বড় দারোগাহাট ওজোন স্কেল এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেনে গাড়ির কাগজপত্র তল্লাশি শুরু করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

একই সময়ে ছোট দারোগাহাট এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেনে সড়ক ও জনপদ বিভাগ মহাসড়কের সংস্কারকাজ শুরু করে। সেসব যানজট ছাড়তে না ছাড়তেই বটতল এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।

লরিটিতে ৩০ টন রড ছিল। পরে চট্টগ্রাম নগর থেকে ৩০ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রেন এনে রাত সাড়ে আটটার দিকে মহাসড়ক থেকে গাড়িটি সরানো হয়। এরপর ঢাকামুখী লেন সচল হয়। তবে পুরোপুরি সচল হতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লেগেছে।