সিলেটে কোরবানি দিতে গিয়ে আহত ৭৬, হাসপাতালে ভর্তি ২৬ জন
সিলেটে কোরবানি দিতে গিয়ে হাত-পা কাটাসহ বিভিন্নভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭৬ জন। এর মধ্যে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ২৬ জন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ঈদের দিন গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
হাসপাতাল থেকে আরও জানা গেছে, গতকাল সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪২ জন। এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা, মারামারি, অসুস্থতার কারণে ভর্তি হয়েছেন অনেকে। এর বাইরে কোরবানি দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত আহত হয়েও অনেকে ভর্তি হয়েছেন। কোরবানি দিতে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫০ জন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। অন্য ২৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের হাত ও পায়ের শিরা কেটে গেছে।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে কথা হয় চিকিৎসাধীন ওয়াসিম উদ্দিনের (২৪) সঙ্গে। তাঁর শয্যার পাশে বসে ছিলেন মা সমলা বেগম।
ওয়াসিম বলেন, গতকাল সকালে তাঁরা সিলেট নগরের চৌকিদেখি এলাকায় গরু কোরবানি দিচ্ছিলেন। তিনিসহ আরও দুজন গরুর মাথা চেপে ধরেছিলেন। এ সময় গরু হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠলে গরুর গলায় চালানো ছুরি তাঁর হাতে লেগে শিরা কেটে গেছে। হাসপাতালে আসার পর ব্যান্ডেজ দেওয়া হয়েছে। রাতে অস্ত্রোপচার করা হবে।
একইভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সিলেটের ওসমানীনগরের তাজপুরের বাসিন্দা সামাদ আহমদ (২৬) ও সিলেটের কালাগুল এলাকার শানুর মিয়া (৩৬)। তাঁদের দেখভাল করছিলেন স্বজনেরা।
সামাদ আহমদ বলেন, গতকাল বেলা ১১টার দিকে কোরবানির গরু জবাই করতে গিয়ে ছুরিতে বাঁ হাতের দুটি আঙুল কেটে গেছে। রক্তক্ষরণ থামছিল না, দ্রুত হাসপাতালে এসেছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, কয়েক দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে।
হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, কোরবানি দিতে গিয়ে অনেকে অসাবধানতাবশত আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁরা চিকিৎসাধীন, তাঁদের অধিকাংশের শিরা কেটে গেছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি জরুরি চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। শিরা কেটে যাওয়ার বিষয়টি জটিল। যাঁদের শিরা কেটে গেছে, তাঁদের অস্ত্রোপচার করা হবে।