ধূমপান করাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে লিপ্ত হয় এলাকার কিশোরদের দুটি পক্ষ। তা দেখে থামাতে গিয়েছিলেন সাবেক এক যুবদল নেতা। এ সময় ওই যুবদল নেতার বুকে একটি ঘুষি লাগে। মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় ঘটেছে এ ঘটনা। নিহত ব্যক্তির নাম মুহাম্মদ আলমগীর (৪৫)। তিনি স্থানীয় উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মুহাম্মদ আলমগীর গ্রামে আসতে পারেননি। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতের ঘটনার পর তিনি গ্রামে ফেরেন। পরে এলাকায় একটি মুরগি বিক্রির দোকান দেন। গতকাল রাতেও তিনি দোকানে ছিলেন। ওই দোকানের সামনেই কিশোরদের দুটি পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। ওই কিশোরদের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছর। দুই পক্ষ মিলিয়ে সদস্য ছিল ১৫ জনের মতো। তিনি সেখানে গিয়ে দুই পক্ষের সমঝোতার চেষ্টা করেছিলেন। এ সময় তাঁর বুকে ঘুষি লাগে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং পরে নগরের আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে নিহত আলমগীরের ছোট ভাই মুহাম্মদ রফিক প্রথম আলোকে বলেন, দুই গ্রামের কিশোরদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় তাঁর ভাই সমঝোতা করতে গিয়েছিলেন। এ সময় ঘুষিতে তাঁর ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
জানতে চাইলে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি জানার পর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘুষির আঘাতে ওই ব্যক্তির মাটিতে লুটিয়ে পড়ার কথা অনেক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন। তবে নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হৃদ্রোগের কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। ওসি আরও বলেন, তাঁরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। পরিবার মামলা করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।