খুলনায় বন্ধুকে আটকে রেখে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

খুলনায় বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বের হওয়া নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে নগরের খালিশপুর এলাকার মদিনাবাগ আবাসিক এলাকায় বন্ধুকে আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পাবলা সবুজ সংঘ মাঠ এলাকার মো. মেজবাহ উদ্দীন (২৫), একই এলাকার মো. ইমন মোল্লা (২০) ও পাবলা বৈরাগীপাড়া এলাকার মো. শিমুল চৌকিদার (২০)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিন আসামি খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী গতকাল বেলা ১১টার দিকে তাঁর এক বন্ধুর (২১) সঙ্গে ঘুরতে বের হয়। একপর্যায়ে তাঁরা দৌলতপুরের একটি রেস্তোরাঁয় বসেন। এ সময় ওই ছাত্রীর বন্ধুকে মেজবাহ ফোন দিয়ে পাবলা সবুজ সংঘ মাঠের দিকে আসতে বলেন। ওই ছাত্রীর বন্ধু ও মেজবাহ পূর্বপরিচিত। পরে ওই ছাত্রী ও তার বন্ধু সবুজ সংঘ মাঠে গেলে মেজবাহ, ইমন ও শিমুল তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। পরে মেজবাহ, ইমন ও শিমুল কৌশলে ওই ছাত্রী ও তার বন্ধুকে ইজিবাইকে তুলে নগরের খালিশপুরের নির্জন এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে ওই তিন তরুণসহ কয়েকজন বন্ধুকে আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান।

পরে ওই ছাত্রী ও তার বন্ধু সেখান থেকে দৌলতপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। দৌলতপুর থানা–পুলিশ বিষয়টি খালিশপুর থানায় জানায়। গতকাল রাতে ওই ছাত্রীর বাবা খালিশপুর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করে মামলা করেন।

খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরই গতকাল পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।