নেত্রকোনায় দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদ, জড়িতদের শাস্তি দাবি
নেত্রকোনায় সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম ও রোমান হাসানের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
শফিকুল ইসলাম (কুদ্দুস) ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের আকাশ পত্রিকায় নেত্রকোনা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। তিনি রুরাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশনের ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সচিব। আর রোমান হাসান ময়মনসিংহ প্রতিদিনে নেত্রকোনা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। ১৭ ডিসেম্বর পেশাগত দায়িত্ব পালনে কেন্দুয়া উপজেলায় তাঁরা হামলার শিকার হন।
নেত্রকোনা সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি চলে। এ সময় বক্তব্য দেন জেলা প্রেসক্লাবের সদস্যসচিব ও বাংলাভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি মাহবুবুল কিবরিয়া চৌধুরী, চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান, বণিক বার্তা ও এনটিভির নিজস্ব প্রতিবেদক ভজন দাশ, সমকালের প্রতিনিধি খলিলুর রহমান শেখ, এশিয়ান টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শফিকুল ইসলাম ও রোমান হাসান ১৭ ডিসেম্বর পেশাগত দায়িত্ব পালনে কেন্দুয়া উপজেলায় যান। ছিলিমপুর মোড় এলাকায় রাস্তার পাশে থাকা বালুর স্তূপের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন তাঁরা। অভিযোগ রয়েছে, ওই বালুগুলো অবৈধভাবে উত্তোলন করে রাখা হয়েছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা ওই দুই সাংবাদিককে একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখে এবং বেধড়ক মারধর করে। এতে শফিকুল ইসলামের বাঁ হাত ও ডান পায়ে চিড় ধরে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তাঁরা ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শফিকুল ইসলামের অভিযোগ, দুর্বৃত্তরা তাঁদের একটি টিনের ঘরে আটকে রেখে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে মেরে লাশ গুমেরও হুমকি দেয়। দুর্বৃত্তদের মধ্যে তিনি ছিলিমপুর এলাকার আবদুল আউয়াল, বজলুর রহমান খান ও তাঁর ছেলে সাইদ খানকে চিনতে পেরেছেন। এ ঘটনায় তিনি আজ বৃহস্পতিবার কেন্দুয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে আজ জেলা শহরে কর্মরত সাংবাদিকেরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত আবদুল আউয়ালের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তাঁর মতো অন্যদের ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।