খুলনায় বিএনপির ৩৬ নেতা–কর্মীর আগাম জামিন

আদালত
প্রতীকী ছবি

খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী, খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এস এম মনিরুল হাসানসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৩৬ নেতা–কর্মী আগাম জামিন পেয়েছেন। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে তাঁদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

বিএনপি নেতা–কর্মীদের করা আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আগাম জামিন মঞ্জুরের এ আদেশ দেন।

এসব তথ্য জানিয়ে খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং খুলনা নগর বিএনপির গণমাধ্যম শাখার সদস্যসচিব মিজানুর রহমান জানান, আদালতে বিএনপির নেতা–কর্মীদের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবী নিতাই রায়চৌধুরী ও মিথুন রায়চৌধুরী।

আইনজীবীর বরাত দিয়ে মিজানুর বলেন, ১৯ মে খুলনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে নেতা–কর্মীরা জড়ো হয়ে সমাবেশ শুরু করেন। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বক্তব্য শুরুর আগেই বিনা উসকানিতে পুলিশ সদস্যরা বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ, লাঠিপেটা শুরু করে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ১৩ জন নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ১ হাজার ৩০০ নেতা–কর্মীর নামে মামলা করে। মামলার শুনানি শেষে আদালত তাঁদের ছয় সপ্তাহের জামিন দেন। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে তাঁদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে বলেও জানান আইনজীবীরা।

জামিন পাওয়া অন্যরা হলেন খুলনা সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, সদর থানা বিএনপির সদস্যসচিব মো. ফরিদ মোল্লা, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাসুদ পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাদী, যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী হাসানুর রশিদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক খান জুলফিকার আলী, নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল মান্নান মিস্ত্রি, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইসতিয়াক আহমেদ, মহানগর ছাত্রদলের সদস্যসচিব তাজিম বিশ্বাস, জেলা যুবদলের সহসভাপতি আবদুল্লা হিল কাফি, নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার হাসিনুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, বিএনপি নেতা কিমিয়া সাদাত, গাউস কুলি, মো. রবি, মো. জামাল, মো. নাসিম, মো. বেলায়েত শেখ, শেখ সাইফুল্লাহ, সোহেল শেখ, মফিজুর রহমান, মো. জিয়াউর রহমান, আসাদুজ্জামান, মো. জাবেদ, শফিকুল ইসলাম, আল-আমিন ও সেরাজ।