বগুড়ায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে সোয়া এক ঘণ্টা আটকা দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস, শহরে যানজট
বগুড়ায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে আন্তনগর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেন সোয়া এক ঘণ্টা আটকা পড়ে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি মেইল ট্রেনের যাত্রীদেরও আধা ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়। এতে সান্তাহার-লালমনিরহাট রেলপথে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
এদিকে রেলক্রসিংয়ের ওপর ট্রেন আটকা পড়ায় শহরের ব্যস্ততম সড়কে যানবাহন পারাপার দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে। এতে শহরজুড়ে যানজট দেখা দেয়। আজ রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বগুড়া রেলস্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান বলেন, পঞ্চগড় ছেড়ে আসা আন্তনগর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেন প্রায় ৫০০ যাত্রী নিয়ে বেলা ৩টা ২৫ মিনিটে বগুড়া স্টেশনে দাঁড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই হোম সিগন্যালে এসে ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে এ রেলপথে সোয়া এক ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। বিকেল চারটার দিকে সান্তাহার ছেড়ে আসা লালমনিরহাটগামী মেইল ট্রেন স্টেশনে আটকে পড়ে। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে বিকল্প ইঞ্জিনের সাহায্যে ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এরপর লালমনিরহাটগামী মেইল ট্রেনটিও গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এদিকে শহরের ১ নম্বর রেলক্রসিংয়ের ওপর ট্রেন বিকল হয়ে থাকায় থানা মোড় ও চকযাদু সড়কে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে শহরের প্রধান সড়কেও যানজটের রেশ পড়ে। সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় শহরের দত্তবাড়ি থেকে মফিজপাগলার মোড় পর্যন্ত প্রধান সড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।
বেলা সাড়ে তিনটায় শহরের সাতমাথায় গিয়ে দেখা গেছে, সাতমাথাকেন্দ্রিক সব কটি সড়কে যানজট। সবচেয়ে নাজুক অবস্থা সাতমাথা-শেরপুর সড়কে। সাতমাথা থেকে ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। সাতমাথায় ট্রাফিক পুলিশ বক্স থাকলেও যানজট নিরসনে নির্বিকার ছিল পুলিশ।
বেলা সোয়া তিনটার দিকে সাতমাথায় এসআর প্লাস কাউন্টারের সামনে কথা হয় রিকশাযাত্রী রুহুল আমিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সাড়ে তিনটায় ঢাকার কোচের টিকিট কেটেছি। ঠনঠনিয়া কোচ টার্মিনালে গিয়ে বাসে উঠতে হবে। সাতমাথা থেকে রিকশায় উঠেছি। ১৫ মিনিট ধরে একই জায়গায় আটকে আছি। যানবাহন চলছে না, স্থবির হয়ে আছে। নর্দমার কাদা তুলে অর্ধেক সড়ক বন্ধ করায় এ যানজট তৈরি হয়েছে।’
জানতে চাইলে বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বলেন, বর্ষা মৌসুম সামনে রেখে শহরের প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম চলছে। পৌরসভায় ভ্যাকুয়াম যন্ত্র নেই। ফলে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে নর্দমা পরিষ্কার করতে হচ্ছে। পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা অপসারণে পরিবহনসংকট আছে। এ জন্য নর্দমার কাদা ময়লা তুলে সড়কে দু–এক দিন ফেলে রাখতে হচ্ছে। শহরের প্রধান সড়ক থেকে দ্রুত নর্দমার ময়লা অপসারণ করা হবে বলে তিনি জানান।