সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি

সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর উত্তর চর মোন্তাজ গ্রামেছবি: প্রথম আলো

নতুন সড়কের কাজ ছয় মাস আগে শেষ হয়েছে। কিন্তু সে সড়কের ঠিক মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের দুটি খুঁটি। এ অবস্থা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চর মোন্তাজ ইউনিয়নের উত্তর চর মোন্তাজ গ্রামের খালের ওপর সেতু ও সংযোগ সড়কের। এর ফলে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়েই চলছে যাত্রী ও যানবাহন।

স্থানীয়রা বলেন, ইউনিয়নের চর লক্ষ্মী ও চর মারগ্যারেট গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যেন সহজে ইউপি কার্যালয়ে যাতায়াত করতে পারে, এ জন্য সড়কটি নির্মাণ করা হয়। এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এম এ মতিনের বাড়িসংলগ্ন খালের ওপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। প্রায় ছয় মাস আগে ঠিকাদার সেতু ও সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করেছেন।

তবে সেতুর কাজ শেষ হলেও সড়কের পশ্চিম পাড়ের ঢালে ও চেয়ারম্যান বাড়িসংলগ্ন সড়কের ওপর দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়ে গেছে। ঠিকাদার এসব বৈদ্যুতিক খুঁটি না সরিয়ে কাজ শেষ করে চলে গেছেন। এর ফলে যানবাহনের চালকদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

ওই এলাকার ইজিবাইকচালক মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন জায়গায় চলাচল করতে হয়। সড়কের ওপর বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকার কারণে দিনে গাড়ি চালানো গেলেও রাতে তা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। বিশেষ করে বিদ্যুৎ না থাকলে দুর্ঘটনার ভয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। খুঁটিতে ধাক্কা লেগে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

ওই এলাকার চর মোন্তাজ ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, এ সড়ক দিয়ে অনেক শিক্ষার্থী আসা-যাওয়া করে। একাধিক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এ সড়ক থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো দ্রুত সরিয়ে নিলে তাঁরা শঙ্কামুক্ত হবেন।

চর মোন্তাজ ইউপির চেয়ারম্যান মো. আবু সামসুদ্দিন বলেন, দ্রুত খুঁটিগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।

এলজিইডি রাঙ্গাবালী কার্যালয় জানায়, ইউনিয়ন-উপজেলা সংযোগ সড়কের অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার ব্রিজ প্রকল্পের আওতায় ৬৬ মিটারের একটি সেতু ও ৩৫০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ছয় কোটি টাকা।

ঠিকাদার মো. জামাল হোসেন জানান, এলজিইডি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে খুঁটি দুটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ অফিসের কোনো তৎপরতা তিনি দেখেননি। এ ছাড়া দরপত্রে বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দও ছিল না। তাই যেখানের খুঁটি, সেখানে রেখেই তাঁদের কাজ শেষ করতে হয়েছে।

এলজিইডি রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, চর মোন্তাজ ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণে রয়েছে ভোলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিষয়টি তাদের অবহিত করা হয়েছে।

ভোলার দক্ষিণ আইচা পল্লী বিদ্যুতের সাব-জোনাল কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. কাওসার আহমেদ বলেন, চর মোন্তাজে সড়কের মধ্যে বিদ্যুতের খুঁটি থাকার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে বিদ্যুতের খুঁটি সরানো একটু সময়ের ব্যাপার। দরপত্র আহ্বান ও ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। এলজিইডির চিঠি পাওয়ার পর উদ্যোগ নেওয়া হবে।