নাটোরে শিক্ষিকার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা, ৫৪ ধারায় স্বামী গ্রেপ্তার

আজ সোমবার দুপুরে মামুন হোসেনকে নাটোর আমলি আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়
ছবি: প্রথম আলো

নাটোরে কলেজশিক্ষক খায়রুন নাহারের (৪২) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আটক স্বামী মামুন হোসেনকে (২২) ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নাটোর সদর থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার সকালে শহরের বলারিপাড়া মহল্লার হাজী নান্নু ম্যানসনের চারতলার ভাড়া বাসা থেকে খায়রুন নাহারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে খায়রুন নাহারের স্বামী মামুন হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় নিহত কলেজশিক্ষকের চাচাতো ভাই ছবের উদ্দিন বাদি হয়ে গতকাল রাতে সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। মামলায় কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ আজ বেলা সোয়া একটার দিকে মামুন হোসেনকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সদর আমলি আদালতে হাজির করার উদ্দেশ্যে হাজতখানায় নেওয়া হয়েছে। বিকেল চারটার দিকে তাঁকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসলেম উদ্দিনের আদালতে হাজির করা হবে। এর আগে গতকাল বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন রাত আটটার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার খামার নাচকৈড়ের আবুবকর সিদ্দিকী কওমি মাদ্রাসা মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে নাচকৈড় কবরস্থানে খায়রুন নাহারকে দাফন করা হয়।

ময়নাতদন্তকারী দলের সদস্য নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সামিউল ইসলাম গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানা গেছে, খায়রুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন। রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য মৃতদেহ থেকে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল হাতে পাওয়ার পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। তাই আটক মামুন হোসেনকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাঁর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

ওসি নাসিম আহমেদ আরও বলেন, নিহত ব্যক্তির নিকটাত্মীয় যেমন মা, বাবা, ভাই কেউ পুলিশের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করেননি। চাচাতো ভাই বাদি হয়ে অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। ওই মামলার ভিত্তিতে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

খায়রুন নাহার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার একটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর স্বামী মামুন একই উপজেলার একটি কলেজের ডিগ্রি (পাস) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।