সিলেটে ১৫ ঘণ্টায় ২৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টি, নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

সিলেটে সোমবার দিবাগত রাতে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে শহরের বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও বাসাবাড়ি। পানি মাড়িয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও মানুষ। আজ সোমবার সকালে নগরের তেরোরতন এলাকায়ছবি: আনিস মাহমুদ

সিলেটে গত ১৫ ঘণ্টায় ২৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। গতকাল রোববার সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে থাকলেও টানা বৃষ্টির কারণে আজ সোমবার সকাল থেকে সেটি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সোমবার সকাল নয়টা পর্যন্ত গত ১৫ ঘণ্টায় সিলেটে ২৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, সিলেটে আগামী দুই দিন অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের বা ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

আরও পড়ুন

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে দুটি নদীর পানি চারটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে অবস্থান করছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কয়েক দিনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানিতে সুরমা নদী টইটম্বুর। তাই বৃষ্টির পানি সিলেট নগরের ছড়াগুলো দিয়ে নদীতে মিশতে না পারায় নগরের বিভিন্ন স্থান জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। আজ সোমবার সকালে নগরের শাহজালাল উপশহরের এ-ব্লকে
ছবি: আনিস মাহমুদ

এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। সেখানে সোমবার সকাল নয়টায় ১৫ দশমিক ৯৩ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। সেখানে সোমবার সকাল নয়টায় ৯ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল পানি।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেটের নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সিলেটে দুটি নদীর চারটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। তবে অন্য নদ-নদীর পানি সোমবার সকাল নয়টা পর্যন্ত বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছে।