সন্দ্বীপে পুলিশ হত্যাচেষ্টার মামলায় অস্ত্রসহ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

রবিউল আলমছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মগধরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলমকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে মগধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি বন্দুক ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। রবিউল আলম পুলিশ হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি।

জানা গেছে, ২৪ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের মুন্সিরহাট বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের ওপর নৌকার কর্মীরা হামলা করে। এতে স্বতন্ত্র পক্ষের তিনজন ও নৌকার একজন কর্মী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে দুই পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নিলে পুলিশের ওপরও হামলা করা হয়। এতে একাধিক পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় সন্দ্বীপ থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জয়নুল বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ ও ৬৫ জনকে আসামি করে পুলিশের কাজে বাধা ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। ওই মামলায় রবিউলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার রবিউল আলমের বিরুদ্ধে নাশকতা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আগের পাঁচটি মামলা রয়েছে। তিনি সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের অনুসারী।

সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রবিউল গ্রেপ্তারের ভয়ে মগধরার গহিন জঙ্গলে লুকিয়েছিল। পুলিশ খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আজ রোববার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।