খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ, আহত ১৫

সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। আজ দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাব এলাকায়
ছবি: সাদ্দাম হোসেন

খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৫ জন আহত হন। আজ শুক্রবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ১০ জন নেতা–কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

খুলনা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।

এদিকে সংঘর্ষের সময় পুলিশ গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা। তাঁদের দাবি, দিঘলিয়া সেনাটি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মুজিবুর রহমান, খালিশপুর বিএনপির নেতা রিপন, যুবদল নেতা জাহিদুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

আজ দুপুরে নগরের প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে বিএনপি
ছবি: সাদ্দাম হোসেন

বিএনপির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের পদত্যাগ, গায়েবি মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধ, সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আজ দুপুরে নগরের প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে বিএনপি। সমাবেশে বিএনপির নেতা–কর্মীদের মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর পুলিশ তাঁদেরকে লাঠিপেটা করে এবং কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছোড়ে।

খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম অভিযোগ করে বলেন, বিনা উসকানিতে পুলিশ সমাবেশ পণ্ড করতে তাঁদের ওপর গুলি, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠিপেটা করে। এতে বিএনপির অসংখ্য নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। পরে আহত নেতা–কর্মীদের নামসহ বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

তবে পুলিশ বলছে, বিএনপির নেতা–কর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে।

সমাবেশের একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়
ছবি: সাদ্দাম হোসেন

জানতে চাইলে খুলনা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলের ভেতরে বিএনপির কর্মিসভা ছিল। রাস্তায় কোনো কর্মসূচির অনুমতি বিএনপির ছিল না। সেখানে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা এলে দলের নেতা–কর্মীরা প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করে সড়কের ওপর বসে পড়েন। এ সময় পুলিশ একটু পিছিয়ে যায়। একপর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপির নেতা–কর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়েন। এ সময় পুলিশ তাঁদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। বিএনপির হামলায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ১০ নেতা–কর্মীকে আটক করা হয়েছে।