‘নৌকা না পাইলে খাড়ানো দূরের কথা, শুইয়া থাকতেও পারতা না’

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাঁকড়াজান ইউনিয়নের ইন্দারজানী বাজারে নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য দেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায়ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অনুপম শাহজাহানকে কোনো ছাড় দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। গতকাল শুক্রবার টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার ইন্দারজানী এলাকায় পথসভায় দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ আসনে নিজের দল থেকে গামছা প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন অনুপম শাহজাহান জয়।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এখন আর বড়-ছোটর কোনো মাপ নাই। বাপ-দাদার কোনো হিসাব নাই। এখন যার হাতে ক্ষমতা, সে–ই হলো সব। দেশে মানবিক গুণাগুণ নাই। কয়েক দিন যাবৎ শুনছি, আমার ভাগনেটা (প্রতিদ্বন্দ্বী অনুপম শাহজাহান) আমাকে নিয়ে নানা কথা বলে। আমার বাড়িতে ওর মায়ের বিয়ে হয়েছে। ওর বাপ শাহজাহানকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছি। ওকে কিন্তু আমি ছাড়ব না।’

আরও পড়ুন

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়ের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘যদি তুমি নৌকা না পাইতা, তাহলে আমার সামনে খাড়ানো তো দূরের কথা, আমার সামনে শুইয়া থাকতেও পারতা না। তুমি নৌকার গরম দেখাইও না। নৌকার কিন্তু এখন গোড়া নাই, পাটাতন নাই, পানি নাই।’

এ সময় বিএনপিকে হয়রানি না করার জন্য পুলিশের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বিএনপিকে যেন এ নির্বাচনে হ্যারাস করা না হয়। বিএনপি নির্বাচনে আসে নাই। এটা কি তারা অন্যায় করেছে? ইচ্ছা হলে নির্বাচনে অংশ নেবে, ইচ্ছা না হলে নেবে না। বিএনপি ডাকাতি করলে, খুন করলে, মারামারি করলে থানায় ধরে নেবে। কিন্তু কেউ বিএনপি করে বলে আগের মামলায় এখন ধরে নেবে, তা হবে না।’

৭ তারিখের সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘নির্বাচনটা খুব একটা ভালো হইতেছে না। কেমন যেন একটা ঝিমানো ঝিমানো ভাব।’

পথসভায় কাদের সিদ্দিকী ছাড়াও বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুস সবুর খান, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় যুব আন্দোলনের সভাপতি হাবিবুন্নবী সোহেল প্রমুখ।

টাঙ্গাইল-৮ আসনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সাবেক সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান ছাড়াও আরও চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন রেজাউল করিম (জাতীয় পার্টি), পারুল আক্তার (তৃণমূল বিএনপি), আবুল হাশেম (বিকল্পধারা বাংলাদেশ) ও মোস্তফা কামাল (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।