মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলার ঘটনায় ঈশ্বরদীতে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি

পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি সদস্যরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে
ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে ককটেল ও পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনসহ রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় অঞ্চলে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। নাশকতা প্রতিরোধে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি আনসার, পুলিশ ও এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা স্টেশন এলাকায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি এই কমিটি রেলওয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে।

আরও পড়ুন

এদিকে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলার ঘটনায় রেলওয়ে থানা-পুলিশ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

ঈশ্বরদীর ইউএনও সুবীর কুমার দাস বিজিবি মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হলেও প্রশাসন রেলের নিরাপত্তায় নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। ঈশ্বরদীতে রেলওয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রতি দুই কিলোমিটারে চারজন করে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রেলের ট্রলি কারে রেলপথ ও আশপাশের এলাকা পরীক্ষা করে ট্রেনের যাত্রাপথ নির্বিঘ্ন করতে সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছেন। এ ঘটনায় রেল পুলিশ একটি মামলা করেছে। নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে কাজ চলছে।

আরও পড়ুন

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি রেলওয়ের নিরাপত্তায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে এই কমিটির সদস্যরা থাকবেন। নাশকতার খবর পেলে তাঁরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবেন। নাশকতা প্রতিরোধে কাজ করবেন।

আরও পড়ুন

গতকাল বুধবার মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। দুপুর ১২টার দিকে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে পৌঁছায়। সেখানে যাত্রাবিরতি দিয়ে আবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। জংশন স্টেশন থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন পৌঁছার আগেই লোকশেড এলাকায় ট্রেনটিকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা ককটেল ও পেট্রলবোমা ছোড়ে। এতে ট্রেনের জানালার কাচ ফেটে যায়। ট্রেনের যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। তবে চালক দ্রুত ট্রেন চালিয়ে বাইপাস স্টেশন ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশে চলে যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বিস্ফোরিত ককটেল ও পেট্রলবোমার আলামত উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন