কেরানীগঞ্জে কিশোরকে গলা কেটে হত্যা, সন্দেহ কিশোর গ্যাংয়ের দিকে

লাশ
প্রতীকী ছবি

ঢাকার কেরানীগঞ্জে সড়কের পাশ থেকে জুনায়েদ হোসেন (১৬) নামের এক কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের ধারণা, এক নারীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাকে হত্যা করেছে।

জুনায়েদ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাস্তা ইউনিয়নের রাজাবাড়ি এলাকার মনির হোসেনের ছেলে। সে কেরানীগঞ্জের বোয়ালি এলাকার একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করত।

আজ রোববার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাস্তা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে জুনায়েদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে।

জুনায়েদের বড় ভাই তুহিন হোসেন বাস্তা ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, গত শনিবার সকালে জুনায়েদ কাজের জন্য বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু রাতে ফিরে না আসায় তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। আজ সকালে লোকজনের কাছে জানতে পারেন বাস্তা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে তাঁর ভাইয়ের মরদেহ পড়ে আছে।

তুহিন হোসেন আরও বলেন, গত ঈদুল ফিতরের ছুটিতে রাজাবাড়ি গার্ডেন পার্কে ঘুরতে আসা এক নারীকে রোহিতপুর ইউনিয়নের ধর্মসুর এলাকার কয়েকজন বখাটে কিশোর উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনায় জুনায়েদ ও তার বন্ধুরা প্রতিবাদ জানালে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতিও হয়। পরে ওই কিশোরেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে তাঁদের এলাকায় মহড়া দেয়। তাঁর ধারণা, আগের সেই ঘটনার জেরে পরিকল্পিতভাবে জুনায়েদকে হত্যা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ ও জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে। শিগগিরই দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।