চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুই হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ড
প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলায় পৃথক দুই ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে আরও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আকবর আলী শেখ আজ বুধবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে দুটি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন হত্যার দায়ে বামানগরের কাশেম আলীর ছেলে স্বাধীন আলী ও চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার মৃত বিপ্লব হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আর জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর মাঝপাড়ার কৃষক বাবলু রহমানকে হত্যার দায়ে একই মহল্লার জমির উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা আদালত পুলিশের পরিদর্শক নাসির উদ্দিন মৃধা এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের আদেশের পর মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিনজনকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ৯ মে রাত ১০টার দিকে ব্যবসায়ী কামাল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহত কামাল হোসেনের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় স্বাধীন আলী ও আশিকুর রহমানসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। জমিজমা নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

মামলার রায়ে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ী কামাল হোসেন হত্যা মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বাধীন আলী ও আশিকুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। এ মামলায় অন্য আসামি রফিকুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, ইসমত আরা (বিউটি), সায়মা নিগার ও রাহুল কুমার দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের খালাস দেওয়া হয়েছে।

এদিকে জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুরে ২০২২ সালের ১৬ জুন সকাল সোয়া ১০টার দিকে প্রকাশ্যে কৃষক বাবলু রহমানকে পূর্বশত্রুতার জেরে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী চায়না খাতুন বাদী হয়ে একই গ্রামের জমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পারিবারিক বিরোধের জেরে আসামি জমির উদ্দিন তাঁর হাতে থাকা কোদাল দিয়ে বাবলু রহমানের মাথায় কোপ দেন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় বাবলুকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
কৃষক বাবলু রহমান হত্যা মামলার রায়ে বলা হয়েছে, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত জমির উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দুটি হত্যা মামলার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মারুফ সরোয়ার (বাবু)। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ দুটি হত্যা মামলার তথ্য–উপাত্ত আদালতে যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছে। আদালতে এসব সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

এদিকে জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুরে ২০২২ সালের ১৬ জুন সকাল সোয়া ১০টার দিকে প্রকাশ্যে কৃষক বাবলু রহমানকে পূর্বশত্রুতার জেরে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী চায়না খাতুন বাদী হয়ে একই গ্রামের জমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পারিবারিক বিরোধের জেরে আসামি জমির উদ্দিন তাঁর হাতে থাকা কোদাল দিয়ে বাবলু রহমানের মাথায় কোপ দেন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় বাবলুকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
কৃষক বাবলু রহমান হত্যা মামলার রায়ে বলা হয়েছে, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত জমির উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দুটি হত্যা মামলার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মারুফ সরোয়ার (বাবু)। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ দুটি হত্যা মামলার তথ্য–উপাত্ত আদালতে যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছে। আদালতে এসব সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।